অনলাইন ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহসচিব রুহুল কবীর রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর রাজধানীর নয়া পল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামীতে সরকারকে শূন্য মাঠে খেলতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটারদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এমনটা এখন আর কেউই ভাবেন না।
রিজভী বলেন, গতকাল ঈদের দিন বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। বাসা থেকে সঙ্গে আনা রান্না করা খাবার কারাগারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সকাল থেকে না খেয়ে খালেদা জিয়া অপেক্ষা করছিলেন স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে খাবেন।
কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ সরকারকে খুশি করতেই খাবার ভেতরে নিয়ে যেতে দেয়নি। খালেদা জিয়া তার নাতনি ও আত্মীয়দের সঙ্গে খাবার খেতে পারলেন না।
রিজভী আরও বলেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রীরা প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে নানা বিষয়ে উদ্ভট কথা বলে যাচ্ছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বিঘেœ নিজের বাড়িতে ঈদ করার জন্য নাকি সরকার সবকিছু করেছে। এই ডাহা মিথ্যাচারের নীরব প্রতিবাদে সারা দেশ উত্তাল। ঈদের দিনেই ১০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। জীবন বাঁচাতে অনেক মানুষ এবার সড়কপথের বদলে ট্রেন ও লঞ্চের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। ঘরমুখী মানুষ পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য বাদুড়ঝোলা হয়ে ট্রেনে চড়েছে। ট্রেনের ছাদ এবং ভেতর লোকে লোকারণ্য। সড়ক-মহাসড়ক যেন বধ্যভূমি। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে। দুই যানবাহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মাল পরিবহন, অস্বাভাবিক দ্রুতগতির জন্য চালকের নিয়ন্ত্রণ হারানো, ওভারটেক ইত্যাদি আইনবহির্ভূত কর্মকা-ের জন্য ঈদের খুশির দিনেও বাড়িতে বাড়িতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ–ই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করার নমুনা।
পাঠকের মতামত: